শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

| ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নজরদারিতে রয়েছেন আরাভ খান : পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়

ষ্টাফ রিপোর্টার

নজরদারিতে রয়েছেন আরাভ খান : পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়

পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার আসামি সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিষয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো সহায়তা চায়নি। তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হলে স্বরাষ্ট্র বা অন্য কোনো মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করতে পারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আরাভ খান এই মুহুর্তে নজরদারিতে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলি সাবরিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান। 

তিনি বলেন, আরাভের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি আমাদের কাছে বা আমাদের দূতাবাসের কাছে কোনো সহায়তা চায়, তাহলে অবশ্যই আমরা তথ্য দিয়ে সহায়তা করব। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো সহায়তা চায়নি। এ বিষয়ে দূতাবাস যোগাযোগ রাখছে। 

আরাভ খানের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, আমরা যত দূর জানি আরাভ খান এখন পর্যন্ত নজরদারিতে আছেন। তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। 

ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে আরাভ খান নাম ধারণ করে রবিউল দুবাইয়ে পৌঁছান। এ নিয়ে জানতে চাইলে সেহেলি সাবরিন বলেন, ভারতের পাসপোর্টের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারাধীন। কাজেই ভারতের পাসপোর্ট বাতিল করে তাকে দেশে ফেরত আনা হবে কি না, সেটি নিয়ে ওই মন্ত্রণালয় কাজ করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনের পয়েন্টগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। পয়েন্টগুলো যাচাই-বাছাই করতে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডাকা হবে। এটি নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।

তিস্তায় নতুন খাল খনন করে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারতের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য এসেছে  কিনা  জানতে  চাইলে সেহেলী সাবরীন জানান,  তিস্তায় খাল খননের বিষয়ে জানতে চেয়ে ভারতীয় হাইকমিশনে একটি অফিসিয়াল চিঠি দেয়া হয়েছিল, এখনো উত্তর আসেনি।  

মানব পাচারের অভিযোগে সৌদি আরবে আটক বাংলাদেশী নাগরিকদের বিষয়ে রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস খোঁজ-খবর রাখছে বলে জানান মুখপাত্র। তিনি বলেন, আটক ছয় নাগরিকের বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। দূতাবাস তাদের জন্য কাজ করছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন জানান, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের অর্থ বেহাতের অভিযোগের ব্যাপারে সেখানকার মিশনের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পেলে সবাইকে জানানো হবে।

আর এ