শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

| ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে দুই ধাপ এগিয়ে ৪৩তম স্থানে বাংলাদেশ

ডেস্ক অফিস

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে দুই ধাপ এগিয়ে ৪৩তম স্থানে বাংলাদেশ

 বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক (জিটিআই) এর সর্বশেষ সংস্করণ অনুসারে, দুই ধাপ নেমে বাংলাদেশ এখন ১৬৩টি দেশের মধ্যে ৪৩তম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের প্রভাবের দিক থেকে অগ্রগতি অর্জনকারী দ্বিতীয় দেশ।

জিটিআই সূচকে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৮২৭ স্কোর পেয়েছে। স্কোরের জন্য গণনায় একটি দেশে পাঁচ বছরে সন্ত্রাসের কারণে মৃত্যু, অন্যান্য ঘটনা, জিম্মি ঘটনা ও আহতদের বিবেচনা করা হয়েছে।

জিটিআই প্রতিটি দেশকে ০ থেকে ১০ পর্যন্ত স্কেলে স্কোর করে, যেখানে ০ সন্ত্রাসবাদের কোনো প্রভাব প্রকাশ করে না এবং ১০ সন্ত্রাসবাদের সর্বোচ্চ প্রভাব প্রতিফলিত করে। কম স্কোর একটি দেশের সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে কম প্রভাব নির্দেশ করে। আফগানিস্তান ৮ দশমিক ৮২২ স্কোর পাওয়ায় সন্ত্রাসবাদের সর্বোচ্চ প্রভাবের দেশ হিসেবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস (আইইপি) সন্ত্রাস ট্র্যাকার এবং অন্যান্য উৎস থেকে তথ্য ব্যবহার করে জিটিআই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। টেররিজম ট্র্যাকার ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাগুলোর রেকর্ড সরবরাহ করেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ৮ দশমিক ১৬, ভারত ৭ দশমিক ১৭৩ এবং নেপাল ৪ দশমিক ১৩৪ স্কোর পেয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসবাদের প্রভাবের দিক থেকে নেপালের পরেই, বাংলাদেশ দ্বিতীয় অগ্রগতি অর্জনকারী দেশ। উভয় দেশেই ২০২২ সালে দুটি হামলার ঘটনা রেকর্ড হয়েছে এবং কোনো মৃত্যু হয়নি।’

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে মন্দ জিটিআই স্কোর অর্জনকারী ১০টি দেশের মধ্যে দুটি হচ্ছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। এই অঞ্চলের সাতটি দেশের মধ্যে শুধু ভুটানের জিটিআই স্কোর শূন্য, অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে কোনো সন্ত্রাসী হামলা রেকর্ড করা হয়নি।

যদিও আফগানিস্তান ২০২২ সালে উন্নতি করেছে, তবুও এটি ২০২২ সালে সবচেয়ে সন্ত্রাস-প্রভাবিত দেশ হিসেবে রয়ে গেছে। আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের কারণে মৃত্যু ৫৮ শতাংশ কমেছে। এ সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৯ থেকে ৬৩৩ পর্যন্ত নেমে এসেছে। গত বছর দেশটিতে হামলার ঘটনা ৭৫ শতাংশ কমে ২২৫টি হয়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে কাবুলের পতনের পর তালেবান আফগানিস্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে।

২০২২ সালে পাকিস্তান এই অঞ্চলে দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রভাবিত দেশ ছিল। আগের বছরের তুলনায় পাকিস্তানে হামলার সংখ্যা ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২৯৮টি হামলা হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যায় এই প্রবণতা প্রতিফলিত হয়েছে এবং পাকিস্তানে ২০২২ সালে ৬৪৩টি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এতে ৩৫১টি মৃত্যু বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে পাকিস্তানে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড হয়েছে ফলে দেশটি এ ক্ষেত্রে আফগানিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। বাসস।

আর এ